তাবলীগের ৬ নম্বর পুরা দ্বীন না, আর ফাজায়েলে আমালেও পুরা দ্বীনের সমস্ত বিষয়াবলী বর্ণিত নেই । তাবলীগী ভাইরা মুখ একথা মেনে নিলেও কার্যত তাদেরকে অন্যান্য দ্বীনি বই পত্র পড়তে দেখা যায় খুবই কম । অথচ বুজুর্গানে দ্বীন বলেছেন কোন কিতাব পাঠ করা তার লেখকের সোহবতের বিকল্প । অর্থাৎ হযরত জাকারিয়া বা থানবীর কিতাব পড়া ওনাদের সোহবতের-ই বিকল্প !
হজরত ইলিয়াস রহ: ওনার মাকাতীব ( লিখিত চিঠির সংকলকন ) - এ বার বার বিভিন্ন কিতাব পাঠ করার কথা বলেছেন । সৈয়দ আলী মিয়া ( আবুল হাসান আলী নদভী ) - এর কাছে লিখিত ৩ নং ও ৫ নং চিঠিতে, মিয়াজী ইসার কাছে লিখিত ৩নং চিঠিতে জাজাউল আমাল ( থানভী রচিত ) পড়ার কথা বলেছেন শায়খ জাকারিয়ার কিতাবের পাশাপাশি । এই চিঠি গুলোতে বিভিন্ন কিতাবের নাম আসলেও 'জাজাউল আমাল' এর নাম এসেছে সব চিঠিতে ।
মেওয়াতের কর্মীদের উদ্দেশ্যে লিখা এক চিঠিতে ( ১ নং) তিনি বলেন, থানভীর লেখা থেকে এলেম আসবে, আর থানভীর লোকদের থেকে আমল তৈরী হবে । অথচ আজকাল তাবলীগী ভাইদের বেশীরভাগই দেখা যায় দাওয়াতের কাজকেই এলেম ও আমলের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করেন । যদিও হযরত ইলিয়াস রহ: তা মনে করতেন না !
আর একটা বিষয় হজরত ইলিয়াস রহ: মাকাতীবে বেশ গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, একাকী কিতাব পড়ার কথা । তালীমের নেসাব ভুক্ত কিতাবই তিনি একাকীও পড়তে বলেছেন । তিনি খুবই আজীব একবিষয় এর দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করেন , একাকী কিটাব পড়া আর এস্তেমায়ী কিতাব পাঠ দুটার ফলাফল ভিন্ন ভিন্ন । একাকী পরার মাঝে যে নুর পাওয়া যায় তা এস্তেমায়ী তালিমে পাওয়া যায় না, আর এস্তেমায়ী তালীমে যে বরকত পাওয়া যায় তা একাকী পাওয়া যায় না!